
আম (Mango) এক ধরণের রসালো ফল, যা গ্রীষ্মকালকে আনন্দময় করে তোলে। এটি শুধুমাত্র স্বাদে নয়, পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, থাইল্যান্ডসহ বহু দেশে আমকে “ফলের রাজা” বলা হয়।
প্রকারভেদ
বিশ্বে আমের প্রায় ১২০০ প্রজাতি রয়েছে। বাংলাদেশে জনপ্রিয় প্রজাতিগুলোর মধ্যে রয়েছে হিমসাগর, লংফোং, সাতরাশি, গোলাপি আম। প্রতিটি প্রজাতির নিজস্ব স্বাদ, রঙ ও গন্ধ রয়েছে।
পুষ্টিগুণ
আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ফাইবার ও খনিজ রয়েছে। নিয়মিত আম খেলে চোখের দৃষ্টি ভালো থাকে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং হজম শক্তি উন্নত হয়। এছাড়াও, আমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্কিনকে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখে।
স্বাস্থ্য উপকারিতা
- হজমে সহায়ক: আমে থাকা ফাইবার পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ভিটামিন সি সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- চর্ম ও চুলের যত্ন: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন চর্মকে মসৃণ ও চুলকে শক্তিশালী করে।
- হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য: নিয়মিত আম খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ব্যবহার
আম কাঁচা ও পাকা—উভয়ভাবেই খাওয়া যায়। পাকা আম সরাসরি খাওয়া যায় বা জুস, আইসক্রিম, আচার ও মিষ্টান্ন তৈরিতে ব্যবহার হয়। কাঁচা আমের আচার, চাটনি ও গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যায়।

সংরক্ষণ
পাকা আম ঠাণ্ডা ও শুকনো স্থানে সংরক্ষণ করতে হয়। অতিরিক্ত পাকা আম ফ্রিজে রাখলে কয়েকদিন ধরে রাখা যায়।
উপসংহার
আম শুধু মিষ্টি ও রসালো নয়, বরং এটি স্বাস্থ্য ও পুষ্টির এক অমূল্য উৎস। গ্রীষ্মকালে আম খাওয়া শুধু স্বাদের আনন্দ দেয় না, বরং শরীরকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। তাই আমকে আমরা ভালোবাসি “ফলের রাজা” হিসেবে।


